Wellcome to National Portal
আমাদের কথা

বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ড গৃহিত কতিপয় যুগান্তকারী পদক্ষেপ :

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় : মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে বোর্ড সদস্যদের সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত করা হয়। উল্লেখ্য, কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার পর গত ২১ বছরে প্রধানমন্ত্রীর সাথে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় এটিই প্রথম। নতুন স্কেলে কল্যাণ সুবিধা প্রদান : বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ড অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ২০০৯ সালে পদ ও নতুন পে-স্কেল অনুযায়ী কল্যাণ সুবিধা প্রদান করছে। নতুন পে-স্কেলে সরকার থেকে শুধু বেতনের টাকা প্রদান করা হয়েছে। কল্যাণ সুবিধা বা অবসরের জন্য কোন টাকা দেওয়া হয়নি। কল্যাণ ট্রাস্টের নিজস্ব তহবিল থেকে কল্যাণ সুবিধার টাকা প্রদান করা হচ্ছে। ফলে ২০০৯-২০১০ অর্থ বছরের নতুন স্কেলে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের কল্যাণ সুবিধার দাবি মেটাতে কল্যাণ ট্রাস্টের নিজস্ব ফান্ড থেকে অতিরিক্ত প্রায় ৬০ (ষাট) কোটি টাকা প্রদান করতে হচ্ছে। কল্যাণ ট্রাস্টকে ডিজিটালে উন্নীত করা : অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের কল্যাণ সুবিধার টাকা সহজে পাওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় এক্সেস টু ইনফরমেশন (A2I) প্রজেক্টের মাধ্যমে কল্যাণ ট্রাস্টকে ডিজিটালাইজড করার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীগণ Online পদ্ধতি ব্যবহার করে দেশের প্রত্যন- অঞ্চল থেকে কম্পিউটারের মাধ্যমে আবেদন করে অতি অল্প সময়ের মধ্যে তাদের বাড়িতে বসেই আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের প্রাপ্য টাকা পেয়ে যাবেন।
অনিয়ম, ঘুষ ও দূর্নীতি মুক্ত করা : কল্যাণ ট্রাস্টে অতীতে অনিয়ম, ঘুষ, দূর্নীতির অসংখ্য অভিযোগ ছিল। যেমন একজনের টাকা অন্যজন নিয়ে যাওয়া, একই ব্যক্তি একাধিকবার চেক গ্রহণ, আবেদনপত্রের সিরিয়াল অনুসরণ না করা প্রভৃতি। বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ড দায়িত্ব গ্রহণের পর এইসব অনিয়ম, ঘুষ, দূর্নীতি কঠোর হসে- দমন করা হয়েছে। এখন “আগে আসলে আগে পাবেন” ভিত্তিতে আবেদনের ক্রমানুসারে কল্যাণ সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে। এখানে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই।

একুইটেন্স রোল জমাদানের বাধ্য বাধকতা রহিত : অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের কল্যাণ সুবিধার চেক প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা ছিল একুইটেন্স রোল। ৩০/৪০ বছরের পুরনো একুইটেন্স রোল যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করা, প্রাকৃতিক কারণে নষ্ট হয়ে যাওয়া, হারিয়ে যাওয়া, অস্পষ্ট হয়ে যাওয়া প্রভৃতি কারণে একুইটেন্স রোল জমা দেওয়া বাধ্য বাধকতা উঠিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে এক নির্দেশেই ৭/৮ বছরের পুরনো প্রায় ৫ শত আবেদনকারী দীর্ঘ অপেক্ষার পর তাদের কল্যাণ সুবিধার টাকা পান। এছাড়াও অন্যান্য সকল শিক্ষক কর্মচারী এই সুবিধা ভোগ করছেন।

আবেদনকারীদের আবেদন ভুলভ্রান্তি- অবহিত করে পত্র প্রেরণ : বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ড দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে আবেদনকারীদের আবেদনে কোন ভুলভ্রানি- থাকলে তা জানার কোন ব্যবস্থা ছিল না। ফলে অডিট আপত্তির কারণে শত শত আবেদন দীর্ঘদিন অনিষ্পত্তি অবস্থায় পড়ে থাকত। বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ড দায়িত্ব নেওয়ার পর অডিট আপত্তির বিষয়সমূহ জানিয়ে আবেদনকারীর বাড়িতে পত্র প্রেরণ কিংবা ক্ষেত্র বিশেষে ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হয়। ফলে আবেদনকারী চাহিত কাগজপত্র জমা দিয়ে দ্রুত কল্যাণ সুবিধার টাকা গ্রহণ করার সুযোগ পাচ্ছেন।

নিয়মিত বোর্ড সভা অনুষ্ঠান : কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকাণ্ড গতিশীলতার বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিয়মিত বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এছাড়া প্রতি তিন মাসে বোর্ড সভার বিধান চালু ছিল। বিগত বোর্ড সভায় তিন মাসের পরিবর্তে দুই মাস অন্তর অন্তর বোর্ড সভার সিদ্ধান- গৃহিত হয়েছে।
চেইন অব কমান্ড প্রতিষ্ঠা : কল্যাণ ট্রাস্টে অতীতে কোন চেইন অব কমান্ড ছিল না। সর্বত্র একটি বিশৃঙ্খল পরিবেশ বিরাজমান ছিল। ফলে সকল কর্মকাণ্ডে স'বিরতা বিরাজমান ছিল। বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ড দায়িত্ব গ্রহণের পর অফিসে চেইন অব কমান্ড প্রতিষ্ঠা হয়েছে, কাজে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। সেবার মান বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা : বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের আত্মত্যাগের ফসল আজকের এই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। এই বিষয়টি মাথায় রেখে বীর মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক কর্মচারীগণকে বিশেষ ব্যবস্থা দ্রুততার সঙ্গে কল্যাণ সুবিধার চেক প্রদান করা হয়ে থাকে। আবেদনের মাত্র চার ঘন্টার মধ্যেও বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের হাতে চেক তুলে দেওয়ার নজির রয়েছে।
হজ্বযাত্রী/তীর্থযাত্রীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ : অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারী হজ্বযাত্রী ও তীর্থযাত্রীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ফলে ধর্মীয় এই গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীগণ হজ্ব ও তীর্থ যাত্রা করার সুযোগ পাচ্ছেন। গত হজ্ব মৌসুমে ১৫০ (একশত পঞ্চাশ) জন এই সুবিধা গ্রহণ করেছে।

অসুস্থ ও কন্যাদায়গ্রস্থদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা : অসুস্থ ও কন্যাদায়গ্রস্থ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীগণকে বিশেষ ব্যবস্থায় অগ্রাধিকারভিত্তিতে কল্যাণ সুবিধার চেক পাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

জনবল বৃদ্ধি : প্রায় ছয় লক্ষ শিক্ষক কর্মচারীর সেবায় নিয়োজিত বেসরকারি কল্যাণ ট্রাস্ট ০৩ জন অফিসার, ০২ জন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী এবং ০৬ জন এমএলএসএস দ্বারা পরিচালিত হতো। বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ড দায়িত্ব গ্রহণের পর ০৩ জন বিসিএস কর্মকর্তাকে প্রেষণে এবং ০১ জন অফিসার ও ০২ জন কর্মচারী নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ফলে কল্যাণ ট্রাস্টের কাজের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে।

জেলায় জেলায়, বাড়ি বাড়ি চেক পৌছে দেওয়া : মাত্র কিছুদিন আগেও যেখানে কল্যান সুবিধার চেক পাওয়ার জন্য ঢাকায় এসে ধর্না দিতে হতো, বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হতো, সেখানে এখন কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব স্বয়ং জেলায় জেলায় উপস্থিত হয়ে এমনকি অসুস্থ, অসহায়, শিক্ষক কর্মচারীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ও নিজ হাতে কল্যাণ সুবিধার চেক তুলে দিচ্ছেন। অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালের শয্যায় চেক পৌছে দেওয়ার একাধিক নজির রয়েছে।

 

 

 

অফিস অবস্থান

আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার

অন্যান্য ভিডিও

ফল আর্মিওয়ার্ম পর্যবেক্ষণ ও সনাক্তকরণ

বন্যার সময় কি করণীয়